The Story of a literally Super-cool journey!
Story of a super-volcano far from our Planet
Around the second half of the 19th century, Italian astronomer Giovanni Virginio Schiaparelli observed some special regions on Mars that he referred to as ‘channels’. He also noticed a specific light-colored spot on the Mars surface and assumed it to be the peak of a huge mountain. Giovanni named the spot ‘Nix Olympica’ (which means snows of Olympus). Interestingly, Giovanni always gave names from Latin and Mediterranean places derived from ancient history, mythology, and Bible.
Stevia: A sweet Story!
Dear friends, let’s tell you one sweet story. Most of us have a sweet tooth but using sugar in our daily life invites various problems like weight gain, tooth decay insomnia, acidity, unexplained bloating, and many more. Therefore, nowadays people are opting for low-calorie natural sweeteners instead of sugar. Among them, Stevia was found very effective low-calorie natural sweetener with several health benefits. Read More...
Collect your favorite ebooks for free!
New Simply Biology Series eBooks
বিশ্ব জুড়ে বিজ্ঞান
ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিকা সমীক্ষাদলের বায়োগোগ্রাফার হু গ্রিফিথ তার গবেষকদলের সাথে আইস সেলফে কাজ করার সময় এই আবিষ্কার করেন। টুইটারে একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সমীক্ষার দল পোস্ট করেছে, যেখানে গ্রিফিথস তাঁর উল্লেখযোগ্য অনুসন্ধানের কথা বলেছেন। ওই অঞ্চলে আগের সমীক্ষায় আইস শেল্ফের নীচে সামুদ্রিক মাছ, কিছু নিমাটোড এবং জেলিফিসের মতো প্রাণী পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু গ্রিফিথস এবং তার দল এইবার যা আবিষ্কার করেন তা হ'ল 'ফিল্টার ফিডার' শ্রেণীর প্রাণী। ব্যাপারটি সত্যিই অবাক করার মতো, কারণ ফিল্টার ফিডার হচ্ছে নিম্ন শ্রেণীর মেরুদন্ডী প্রাণী যাদের সাধারণত হেমি কর্ডেট বলে, যেগুলি জলীয় পরিবেশ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে এবং মিউকাস কর্ড তৈরী করার মাধ্যমে সেটি গ্রহণে করে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার খাবারের উৎসের থেকে বহুদূরে, বরফের নিচে, হিমশীতল অন্ধকারে এই প্রাণীগুলির হদিশ মিলেছে। গ্রিফিথস ভিডিওতে বলেছেন অ্যান্টার্কটিকায় বরফের নীচের এই পরিবেশগুলি সম্পর্কে তাঁরা যা কিছু জেনেছেন তা বিশেষ ক্যামেরার মাধ্যমে। বরফে ড্রিল করে এই মুভি ক্যামেরাগুলিকে কয়েক মুহুর্তের জন্যে তাঁরা বরফ স্তূপের নিচে পাঠিয়ে রেকর্ডিং করেন। গবেষণায় উঠে এসেছে যে মানুষ বর্তমানে জানে না যে বর্তমানে অ্যান্টার্কটিক মহাদেশের বরফের সেলফের নীচে কত জমি বিস্তৃত রয়েছে। ফিল্টার ফিডার ছাড়াও পাওয়া গেছে স্পঞ্জের ১৫টি বৈশিষ্ট ও ২২ টি অজানা প্রাণবন্ত কিছু জীব যেগুলি স্পঞ্জ বা অন্যান্য প্রাণী হতে পারে, যেমন বার্নকিলস, নিডারিয়া বা পলিকিট। বিখ্যাত গবেষণা পত্রিকা "ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেরিন সায়েন্স" এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ৮৯০ মিটার বরফের নীচে জীবগুলিকে কিভাবে আবিষ্কার করা হয়েছিল সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ প্রতিবেদনে বলা আছে।
অনেক রোগ সারাতে কার্যকরী ফ্লেক্সসিডঃ কিন্তু কিভাবে?
অনেকেই হয়তো ফ্লেক্সসিড এবং তার খাদ্যগুণ সম্পর্কে অবহিত নন। ফ্লেক্স বা লিনসিড হচ্ছে তন্তু উৎপাদনকারী গাছের বীজ।সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষ এই গাছের তন্তুর সাহায্যে পোশাক তৈরি করে আসছে। প্রায় হাজার বছর আগে, মিশরীয় সভ্যতায় ফ্লেক্সসিড ব্যাবহারের প্রমান পাওয়া গেছে। দেখতে অত্যন্ত ছোট, বাদামী রঙের এই বীজকে খাদ্য হিসাবে বহুল পরিমানে ব্যাবহার করা হয়। ফ্লেক্সসিডে ফাইবারের পরিমান বেশী এবং এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায়, পুষ্টিগুণে এই বীজ অনেকের চেয়ে এগিয়ে আছে। অন্যান্য বাদাম ও বীজের থেকে ফ্লেক্সসিডে ক্যালোরির পরিমান বেশী (১০০ গ্রাম ফ্লেক্সসিডে প্রায় ৫৩৪ ক্যালোরি থাকে) কিন্তু, অসাধারন পুষ্টিকর বলে, দেশীয় তথা আন্তর্জাতিক বাজারে এই বীজের চাহিদা তুঙ্গে।
ফ্লেক্সসিডের কি কি গুন?
ওজন কমাতে ফ্লেক্সসিডের জুড়ি নেই। দেহের অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করতে এবং একই সাথে দেহের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে, ফ্লেক্সসিড অনবদ্য। এই বীজে মিউসিলেজ ফাইবার থাকায় কিছুটা ফ্লেক্সসিড খাবার পর পেট ভরে যায়। খাবার ইচ্ছা কিছুটা কমে যাওয়ায়, অপ্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহন থেকে শরীর বিরত থাকে। এছাড়া, ফ্লেক্সসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীর সুস্থ রাখে।
যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশী, তাদের পক্ষে ফ্লেক্সসিড উপকারী। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল বা লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (LDL) কমিয়ে দেয়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, প্রতিদিন ফ্লেক্সসিড খেলে প্রায় ৬-১১% কোলেস্টেরল কমে যায়। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হোল, ফ্লেক্সসিডে থাকা ফাইটোক্যামিক্যাল “লিগনান” কোলেস্টেরল থেকে তৈরি হওয়া বিভিন্ন যৌগের সাথে যুক্ত হয়ে, পরিপাকতন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে দেহ থেকে বার হয়ে যায়। এমনকি, কোলেস্টেরল কমানোর কিছু ওষুধের সাথেও এই লিগনান যুক্ত হয়ে তাদের কার্যকারীতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আগেই বলা হয়েছে, ফ্লেক্সসিডে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যেটি হার্ট ভালো রাখতে ভীষণ উপকারী। ফ্লেক্সসিডে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ছাড়াও আছে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড, যেগুলি ধমনী ও শিরায় প্রদাহ (Inflammation) জনিত সমস্যার উপশম করে, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট থামাতে সাহায্য করে। এছাড়া, ফ্লেক্সসিড উচ্চ রক্তচাপ কমায়। ফ্লেক্সসিডে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রক্তবাহের প্রাচীরের “ভ্যাসোডায়ালেশান” (প্রসারন ঘটিয়ে) করিয়ে উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
গবেষণায় পাওয়া যায়, ফ্লেক্সসিডে থাকা লিগনান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমিয়ে আনে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষ নিয়মিত ফ্লেক্সসিড খাওয়া শুরু করলে, দুই মাস পরেই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা প্রায় ১৯.৭% কমে যাবে।
ব্রেস্ট, কোলন ও প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধেও ফ্লেক্সসিডের অবদান অনেক। ফ্লেক্সসিডে থাকা প্রয়োজনীয় ফাইটোক্যামিক্যালগুলি টিউমার কমাতে কার্যকরী। তবে কিভাবে ফ্লেক্সসিড এই কাজ করে, তা জানার জন্যে চাই আরও গবেষণা।
আমরা জেনেছি, ফ্লেক্সসিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। দেখা গেছে, ফ্লেক্সসিড ব্যাবহারে হাঁপানি ও পারকিনসন্স ডিসিসের মতো রোগের উপশম হয়। আসলে, রক্তে প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের মাত্রা লিগনান এবং আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড কমিয়ে দেয়।ফলে, প্রদাহ জনিত রোগের প্রকোপ অনেক কমে যায়।
মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হলে এবং মেনোপজের সময়ে ‘হটফ্ল্যাশ’ হতে পারে। নিয়মিত ফ্লেক্সসিডের ব্যাবহারে হটফ্ল্যাশ ৫৭% কমে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে ফ্লেক্সসিড ভীষণ ভালো কাজ করে। এতে আছে ‘সলিউবল’ এবং ‘ইনসলিউবল’ ফাইবার। এরা মল বৃদ্ধি ও অন্ত্র থেকে স্বাভাবিক ভাবে মল নির্গমনে সাহায্য করে। যারা ‘ইরিটেবল বাওল সিন্ড্রোম’ অসুখে ভুগছেন, তারা ফ্লেক্সসিডের সাথে পরিমিত জল খেলে ভালো ফল পাবেন।
ফ্লেক্সসিড ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে। ফ্লেক্সসিডের মধ্যে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের কুঁচকনো ভাব দূর করে। এছাড়া ফ্লেক্সসিডের নিয়মিত ব্যাবহারে চুল পড়া, এগজিমা ও খুস্কির সমস্যাও বন্ধ হয়।
ফ্লেক্সসিডের কিছু সমস্যাও আছে…
গবেষণা বলে, অতিরিক্ত ফ্লেক্সসিডের ব্যাবহার ডেকে আনতে পারে সমস্যা। ফ্লেক্সসিডে অনেক ভালো পুষ্টিউপাদান থাকলেও, কিছুটা পরিমানে থাকে- সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটিক অ্যাসিড, যাদের পুষ্টিবিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে- ‘অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস’। এরা, অনেক ক্ষেত্রে খনিজ লবনের সাথে যুক্ত হয়ে তৈরি করে বিষাক্ত পদার্থ, যা শরীরের পক্ষে হানিকর। এছাড়া, প্রচুর কাঁচা ও গোটা ফ্লেক্সসিড খেলে, তার শক্ত খোলা পরিপাকতন্ত্রে হজম হতে চায়না। ফলে, পেটব্যাথা, গ্যাস, বমি, পেটফাঁপা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। তাই, ফ্লেক্সসিড রোস্ট ও গুঁড়ো করে খাওয়া উচিত, এতে খোলার ভেতরে থাকা পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান সহজেই ক্ষুদ্রান্ত্র দ্বারা শোষিত হতে পারে। ভাইরাস ঘটিত কোন হেমারেজিক ফিবার হলে, ফ্লেক্সসিড খাওয়া চলবে না, কারন এটি রক্ত তঞ্চনে বাধা দেয় বলে দেহের ভিতরের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে। আবার অনেকের ফ্লেক্সসিড খেলে অ্যালার্জি হয়, সেই ক্ষেত্রে ডায়েটে ফ্লেক্সসিড যোগ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া, মহিলাদের গর্ভাবস্থায় ও কোন হরমোন জনিত সমস্যায় ফ্লেক্সসিডের ব্যাবহার করা উচিত নয়।
Post a Comment